ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয় ধান কাটার মেশিন কিন্তু ২৫ ভাগই অকেজো স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না খুচরা যন্ত্রাংশ
সরকারের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জে পঞ্চাশ ভাগ ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয় ধান কাটার মেশিন। । কিন্তু ২৫ ভাগ মেশিনই অকেজো হয়ে গেছে। মেরামতের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিষয়টি স্বীকার করে কৃষি বিভাগ জানায়, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিক্রি পরবর্তী সেবা পাওয়া যায়নি। এ কারণে হাওর এলাকায় মেশিনগুলো মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় সরকার হাওরের ধান কাটার জন্য এ পর্যন্ত ১শ ৮১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ২শ ৯৫টি রিপার মেশিন ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে ৩৭টি হার্ভেষ্টার ও ৮২টি রিপার মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষকরা বলছেন, মেশিন দিয়ে জমি থেকে ধানকাটা, মাড়াই, পরিস্কার ও বস্তায় ভরাতে সময় ও খরচ অনেক কম লাগে।
অন্যদিকে মেশিন চালক ও মালিকদের দাবি, বিক্রয় পরবর্তী সেবা ও স্হানীয় বাজারে খুচরা যত্রাংশ না পাওয়ায় আগের কেনা অনেক মেশিন অকেজো হয়ে গেছে।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বলছেন, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় মেশিনগুলো নষ্ট হচ্ছে। এতে হাওর এলাকায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ পিছিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মোস্তফা ইকবাল আহমদ বলেন, কোম্পানি দায়সারাভাবে মেশিন দেয়ার পর তারা কৃষকের কাছ থেকে কোনো খোঁজ নিচ্ছে না।
তবে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই মোটরস লিমিডেটের প্রতিনিধির দাবি, মেশিনের এক বৎসরের ওয়ারেন্টি থাকে। ম্যানুফ্র্যাকচারিং সমস্যা হলে সমাধান করে দেয়া হয়।
এসিআই মোটরস লিমিটেড প্রতিনিধি মো. ইয়াছির ইবনে আছাব বলেন, আমাদের বাধ্যতামূলক হচ্ছে এক বছরের ওয়ারেন্টি। ম্যানুফ্যাকচারিং সমস্যা হলে সমাধান করে দেয়া হয়। কাস্টমার নিয়ে কি করেছে সেটার দায় আমরা নেব না।
২শ ১৩টি রিপার ও ১শ ৪৪টি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে চলতি বোরো মওসুমে জেলার ২ লাখ সাড়ে ১৯ হাজার হেক্টর জমির মাত্র ৫ ভাগ ধান কাটা ও মাড়াই করা হয়েছে।